প্রতিদিন আমাদের সমাজে ঘটে চলেছে কত রকম অন্যায় অত্যাচারI আর আমাদের সমাজে নারীরাই সবচেয়ে বেশি এই অত্যাচার সহ্য করেI কখনো কখনো সেই অত্যাচার এমন চরমে পৌঁছায় যে তারা আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিতে বাধ্য হয়৷ আবার কখনো খুন হতে হয় তাদেরকে ৷ এবার তেমনি একটি ঘটনার সাক্ষী থাকলো খোদ কলকাতা মহানগরী৷ পনের দাবীতে এক গৃহবধুকে খুনের অভিযোগ উঠল মেয়েটির শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার হরিদেবপুরে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াল হরিদেবপুরে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকাল ৯ টা নাগাদ। পরিবারের তরফে অভিযোগ উঠেছে প্রায় দু লক্ষ টাকা পন না দেওয়ায় পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে মেয়েটিকে। অনেক দিন ধরেই পনের জন্য চাপ দিতে থাকে, একই সাথে চলে মানসিক অত্যাচার। এবং চাপ দেওয়া হতে থাকে বাপের থেকে টাকা আনার জন্য। এ নিয়েই চলত মাঝে মধ্যে চরম অশান্তি ও অত্যাচার। কিন্তু এই অত্যাচারের মাত্রা চরমে উঠে গেলে ওই গৃহবধু আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হন। এমনি অভিযোগ উঠল গৃহবধুর পরিবারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও জানা যায় যে, ওই গৃহবধু মৃত্যুর আগে এসএমএস করে যান তার অত্যাচারের কথা প্রিয় বন্ধুদের।
উল্লেখ্য প্রায় মাস দুয়েক আগে হরিদেবপুরে মেয়েটির বিয়ে হয়। প্রত্যেক মেয়ের মতো সেও নতুন করে সংসার পাতার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু তার স্বপ্ন শেষ হওয়ার আগেই আচমকাই জীবনের প্রদীপ নিভে গেল। এদিন উত্তেজিত জনতা মৃতার শ্বশুর বাড়ি ভাঙচুর চালায়।
তবে বিবেকবান মানুষের কাছে একটাই প্রশ্ন কবে উঠবে এই ভয়াভহ পন প্রথার মত অমানবিক প্রথা। আর কত ঝরবে রক্ত, অকালে হারাবে আর কত প্রান?