আর কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন।কিন্তু তার আগেই মূলত সেমিফাইনাল হয়ে গেল রাজ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন। নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র এবং উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র এই দুটি কেন্দ্রে সদ্য অনুষ্ঠিত হয়েছে উপনির্বাচন। প্রত্যাশিত ভাবেই দুটি কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীগণ। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাজদা আহমেদ 4 লক্ষ 74 হাজার 510 ভোটে জয়ী হয়েছে । তার মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 7 লক্ষ 67 হাজার 556 ভোট। অপরদিকে নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সুনীল সিংহ 63 হাজার 28 ভোটে জয়ী হয়েছে। তার মোট প্রাপ্ত ভোট 1 লক্ষ 1 হাজার 729 ভোট।
তবে এই দুটি উপনির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে দুটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি। নোয়াপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৭১১টি ভোট। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি শিবিরের অমিয় সরকার ২৩ হাজার ৫৭৯ ভোট পেয়েছিলেন। ২ বছর আগে নোয়াপাড়ায় মাত্র ১২.৬৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। এবারের উপনির্বাচনে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২০.৩৬%! অর্থাৎ ভোট বেড়েছে প্রায় আট শতাংশ। অন্যদিকে নোয়াপাড়ার মতো উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রেও দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অনুপম মল্লিক পেয়েছেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪৬টি ভোট। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি এখানে পেয়েছিল ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৩৭টি ভোট। এবারের উপনির্বাচনে তারাই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসে ২৩.২৯% ভোট নিজেদের ঝুলিতে টেনেছে। গতবার উলুবেড়িয়ায় মাত্র ১১.৬৪% ভোট পেয়েছিল বিজেপি। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিজেপির ভোট বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ৷
সন্ত্রাসের আবহে ভোট হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি যেভাবে তাদের ভোট শতাংশ বাড়াতে পেরেছে এবং বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীদের হারিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে রাজ্য রাজনীতিতে যে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে সেটা বলাই বাহুল্য। রাজনৈতিক মহলের মতে যে হারে ভোট শতাংশ বাড়িয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি তাদের ভীত মজবুত করতে সক্ষম হয়েছে তাতে রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে এই ফলাফল বিজেপির জন্য অবশ্যই টনিকের কাজ করবে। অপরদিকে ২০১৯ শে অনুষ্ঠিত লোকসভা ভোটেও বিজেপি রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷
নিয়মিত খবর পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এখানে ক্লিক করে